আপনি হয়তো আমার ব্যাপারে একটা বিষয় জানেন না। আমি কিন্তু খুব একটা টেকনিকাল মানুষ না।
আমি কোডিং কীভাবে করে তাও জানি না। আমি কোন টেকনিকাল SEO এর জাদুকরও নই।
তবে কাজের সময় কখন টেকনিকাল হওয়া লাগে, সেটা আমার জানা আছে। স্ট্রাকচার্ড ডাটা বা স্কিমা মার্ক-আপ ওয়েবসাইটে এড করা এমন একটা টেকনিকাল কাজ, যা আমি করি। এটা এড করার ফলে ওয়েবসাইটের একটা ভালো মানের SEO বুস্ট হয় আর র্যাঙ্কিং বেড়ে যায়।
তবে হ্যাঁ, কিছুটা তো শেখার আছেই।
আপনাকে এর জন্য কোন কোডিং জানা লাগবে না। তবে যদি আগে থেকেই কিছু কোডিং এর অভিজ্ঞতা থাকে, তবে স্কিমা মার্ক-আপ শেখাটা আপনার জন্য অনেক সহজই হবে।
শুধু এর সাথে পরিচিত হতে অল্প কিছু সময় দিতে হবে। এই যা।
আপনার কষ্ট করে কোন টেকনিকাল টার্ম শেখাও লাগবে না, জানাও লাগবে না। আপনি চাইলেই পুরো ব্যাপারটা অটোমেটেড করে রাখতে পারবেন যাতে আপনার কোন কষ্ট করতে না হয়।
তবে আপনার অবশ্যই জানতে হবে ‘স্ট্রাকচার্ড ডাটা’ কী আর এটা কেন এত জরুরি।
যদিও এটা SEO এর জন্য বেশ টেকনিকাল একটা ব্যাপার, তারপরেও এটা আপনার শেখা উচিত। কেন? কারণ ভবিষ্যতে আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং ইমপ্রুভ করতে এটা কাজে লাগবে।
এটা ঠিক যে ‘স্কিমা মার্কা-আপ’ বা ‘স্ট্রাকচার্ড ডাটা’ এগুলো শুনতেই কেমন জানি জটিল লাগছে। কিন্তু আসলে শুরুতে একটু জটিল লাগবেই। তবে যে কেউই এটা শিখতে পারেন।
তো আসুন, স্ট্রাকচার্ড ডাটার জগৎ থেকে ঘুরে আসি। আর জেনে নিন কীভাবে আমি স্ট্রাকচার্ড ডাটার মত অন-পেইজ SEO ব্যাবহার করে সার্চ ট্রাফিক প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছি।
স্ট্রাকচার্ড ডাটা কী?
স্ট্রাকচার্ড ডাটা বা স্কিমা মার্ক-আপ হলো এক প্রকার কোড। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটে ক্রলিং, অর্গানাইজিং আর কন্টেন্ট ডিসপ্লে করার কাজটা সহজ করে দেয়।
স্কিমা মার্ক-আপ সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ডাটা আসলে কী বোঝায় – সেটা বুঝিয়ে দেয়। এটা ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন এমনিতে বোঝে আপনার ডাটা কী বলে, কিন্তু এটা কেন ওইখানে আছে, এটা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিনের বেশ বেগ পেতে হয়।
মাথায় কিছুই ঢুকছে না? আসুন একটা উদাহরণ দিই।
ধরুন, আপনি চাইছেন আপনার সাইটে আপনার কোম্পানির কন্টাক্ট ইনফরমেশন দেবেন। আপনি চাইলেই এটা সাইটের নিচের দিকে বসিয়ে দিতে পারেন। যে কোন ভিজিটরই এটা খুঁজে নিতে পারবে।
কিন্তু আপনার ডাটা আসলে কী বোঝাতে চায়, সেটা বুঝতে সার্চ ইঞ্জিনের মাথা খারাপ হয়ে যাবার কথা।
যদি আপনি স্কিমা মার্ক-আপ ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝিয়ে দিতে পারবেন যে আপনার কন্টাক্ট ইনফরমেশন হলো আসলেই আপনার সাথে কন্টাক্ট করার ইনফরমেশন। কোন র্যান্ডম ডাটা না।
আপনি শুধু এই মার্ক-আপটা লিখবেন
বুঝতে পারছি, খুবই ভজগট মনে হচ্ছে। নো টেনশন। সাথেই থাকুন। এই আর্টিকেলে একদম ভেঙ্গে-চুরে সব বুঝিয়ে দিচ্ছি।
আসলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার কন্টেন্ট আরো সহজে এনালাইজ করতে সাহায্য করছেন।
এটা কিন্তু খুবই জরুরি। যদি সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটে সহজেই ক্রল করতে পারে, তাহলে আপনার সাইটের SEO এডভানটেজ বেড়ে যাবে।
এখন নিশ্চই অনেকের মনেই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, “কিন্তু ভাই, আর্টিকেল তো লিখবো মানুষের জন্য, মেশিনের জন্য না! এ আবার কেমন কথা?”
আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন, স্কিমা মার্ক-আপ কিন্তু ইউজারদের জন্যেই ডিজাইন করা হয়েছে।
স্কিমা মার্ক-আপকে আপনি মনে করতে পারেন একটা সেইরকম ডিটেইলড বিজনেস কার্ড এর মত, যেখানে আপনার সমস্ত ইনফরমেশন থাকে।
যদিও এটা দেখতে একটু জটিল টাইপ।

সোর্সঃ Quick Sprout
কিন্তু এটার আসল উদ্দেশ্যই হলো আপনাকে-আমাকে সাহায্য করা।
স্কিমা মার্ক-আপ এত জরুরি হবার আরেকটা কারণ হলো এটা সার্চ ইঞ্জিনের কাজ সোজা করে দেয়।
তার মানে আপনি আসলে ‘মেশিনের জন্য’ লিখছেন না। আপনি একটু এক্সট্রা ডিটেল দিচ্ছেন। কন্টেন্টের কোন কিছু পরিবর্তন করছেন না।
স্কিমার ব্যাপারে সবকিছু জানতে ও পেতে এইখানে যান – schema.org
এই সাইটটা আমরা একটু পরেই ব্যবহার করবো। আপাতত বুকমার্ক করে রাখুন।
একটা খুশির খবর হচ্ছে, স্কিমা আপনার সাইটে ব্যবহার করতে হলে আপনাকে যে স্কিমা সম্পর্কে সব জানতে হবে, এমন কোন কথা নেই। বরং আপনি এক ঘন্টার মধ্যেই স্ট্রাকচার্ড ডাটা ব্যবহার করতে শুরু করতে পারবেন। আপনাকে পারতেই হবে।
কিছু মৌলিক বিষয় আগে জানতে হবে। এরপর সবকিছুই ডাল-ভাত।
আপনার যা জানা চাই (আর যা না জানলেও চলবে)
আমার ক্লায়েন্টদের যখন আমি স্কিমা মার্ক-আপ এর ব্যাপারে বলি, তারা বলতে গেলে ভয় পেয়ে যায়।
তাদের দুশ্চিন্তাটা আমি বুঝি। আসলে স্কিমার হাজারটা টার্মস থাকে।
সব মনে রাখা তো একটা ভয়ানক ব্যাপার। শুরু করতেই তো ব্যাপক ঝামেলা।
একটি আনন্দের সংবাদ! আপনার আসলে কিছুই মনে রাখা লাগবে না। আর আপনি আজই স্ট্রাকচার্ড ডাটা ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।
তো আপনার যা জানা দরকার, তা হলোঃ
১) স্ট্রাকচার্ড ডাটার টাইপ
স্ট্রাকচার্ড ডাটা মূলত তিন রকম। একটা টেবল দেখুন। (সৌজন্যে-গুগল)
অর্থাৎ স্ট্রাকচার্ড ডাটার তিন প্রকার হলো JSON-LD, Microdata আর RFDa । আর JSON-LD হলো রেকোমেন্ডেড ফরম্যাট।
তো যেহেতু JSON-LD হলো রেকোমেন্ডেড ফরম্যাট, আমরা সেটাই ব্যবহার করবো।
এটা বলছি, কারণ আপনার এটা জানা দরকার যে Microdata আর RFDa কিন্তু JSON-LD এর মত না।
তাই যখন স্ট্রাকচার্ড ডাটা নিয়ে রিসার্চ করবেন, তখন অবশ্যই JSON-LD নিয়ে যে পড়ছেন, তা শিওর হবেন। অন্য কোন টাইপ না।
২) সবচাইতে কমন স্কিমা টার্মস
আপনি চাইলে এসব ব্যাপারে না জেনেও এগোতে পারেন, তবে এইসব ফান্ডামেন্টাল বিষয় জেনে রাখলে আপনি আরো জলদি এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।
ক) itemscope: এটা অনেক কমন একটা একটা স্কিমা টার্ম। আপনার কন্টেন্টকে টপিক-ভিত্তিতে সাজাতে এটা কাজ করে।
আরো খুলে বললে বলতে হয়, এটা সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝায় যে itemscope ট্যাগ দেয়া সমস্ত কন্টেন্ট হলো একই টপিকের। আপনার কন্টেন্টকে যেমন ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্গানাইজ করেন, ব্যাপারটা তেমনই।
একটা উদাহরণ দেখি। ধরি আপনার HTML দেখতে এমন।
এখন যদি সার্চ ইঞ্জিনকে এটা বুঝাতে চান, যে এই খানে সব তথ্য একই টপিকের, তাহলে শুধু শুরুর div এর পরে itemscope ট্যাগ বসিয়ে দিন। এইভাবে-
এখন সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটের <div> ট্যাগের মধ্যে যত কন্টেন্ট আছে সবগুলোকে এক গ্রপে নিয়ে নেবে।
খ) itemtype: আপনার কন্টেন্টকে আরো ক্যাটাগরাইজ করে itemtype ট্যাগ। itemscope ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনকে বলবে আপনার কন্টেন্টগুলো একটা নির্দিষ্ট আইটেমের ওপর। আর itemtype বলবে সেই আইটেমগুলো আসলে কী ধরণের।
এই উদাহরণে itemtype মার্ক-আপ দেখতে এমন হবে।
এটা সার্চ ইঞ্জিনকে বলবে <div> ট্যাগের ভেতরের সব কন্টেন্ট একটা মুভির ব্যাপারে।
গ) itemprop: আইটেমের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে itemprop ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। itemprop মূলত আইটেমগুলোর ব্যাপারে অতিরিক্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে।
Itemprop হাজার হাজার ধরণের হতে পারে। এই উদাহরণে কয়েক ধরণের itemprop দেখা যাচ্ছে।
এই সবগুলো টার্ম ব্যবহার করে আপনি চাইলে একদম এক্সট্রিম ডিটেইলে যাচ্ছেন, যা আপনার সাইটের জন্যেই ভালো। সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজেই আর একদম সঠিকভাবে আপনার কন্টেন্ট অর্গানাইজ করতে পারবে।
৩) গুগুলের স্ট্রাকচার্ড ডাটা গাইডলাইন
আপনি যদি গুগলের জন্য SEO করেন, যেটা আসলে সবাই করে, তাহলে আপনাকে গুগলের নিয়ম মেনেই SEO করা লাগবে।
স্ট্রাকচার্ড ডাটাও এর ব্যতিক্রম কিছু না। গুগলের কোয়ালিটি গাইডলাইন আছে এর ব্যাপারে।
কোয়ালিটি গাইডলাইন
গুগলে আমরা সবচে গুরুত্ব দিই ইউজাররা যাতে তাদের কোয়েরির রিলেভেন্ট, এনগেজিং সমাধান পায়। হাই-কোয়ালিটি স্ট্রাকচার্ড ডাটা যাতে ইউজারদের সার্চের মিসলিডিং অভিজ্ঞতা তৈরি না করে। সেটা একদম আপ টু ডেট হওয়া চাই এবং পেইজে অলরেডি আছে এমন কন্টেন্ট (যেমন টেক্সট, ইমেইজ আর ভিডিও) আর টপিকের সাথে মিল থাকা চাই। যেমন,
- ডিনার রেসিপি নিয়ে একটা পেইজে রেসিপি স্ট্রাকচার্ড ডাটা ব্যবহার করে উপাদান আর রান্নার স্টেপগুলো লিস্ট করতে পারে
- ইউজারের কাছে ভিসিবল না, এমন কন্টেন্ট হাইড করতে মার্ক-আপ ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এটা মিসলিডিং সার্চ এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করতে পারে। যেমন যদি JSON-LD মার্ক আপ কোন একটা পারফর্মারকে ডেস্ক্রাইব করে, তাহলে HTML বডিও একই পারফর্মারকে ডেসক্রাইব করবে।
স্ট্রাকচার্ড ডাটা যেন রিলেভেন্সি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে, সেই জন্যে আমরা এলগরিদম আর ম্যানুয়াল কোয়ালিটি চেক করে থাকি। যদি কোন সাইটে আমরা দেখি যে স্ট্রাকচার্ড ডাটা এই স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলছে না, আমরা সাইটের রিচ স্নিপেট অকার্যকর করে দেয়ার অধিকার রাখি। যাতে ইউজারের একটা ভালো সার্চ এক্সপেরিয়েন্স হয়। বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবমাস্টার গাইডলাইন দেখুন।
স্কিমা মার্ক-আপ এর জন্য এসব মাথায় রাখা খুব জরুরি। ব্ল্যাক-হ্যাট বা গ্রে-হ্যাট SEO এর সময় এখন নয়।
মনে রাখবেন, স্ট্রাকচার্ড ডাটা ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই কিন্তু আপনার সাইটের কন্টেন্ট ইউজারদের কাছে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করা।
সার্চ ইঞ্জিনকে সাহায্য করলে সার্চ ইঞ্জিনও আপনাকে সাহায্য করবে। ফলে সাইটের ভিসিবিলিটি বাড়বে।
সাইটে স্ট্রাকচার্ড ডাটা যেভাবে এড করবেন
এখন জানবো কীভাবে আপনার সাইটে স্ট্রাকচার্ড ডাটা এড করবেন।
তবে দুঃখের কথা হলো, এটা একটা লম্বা প্রসেস। আপনি কীভাবে আপনার সাইট ম্যানেজ করেন আর প্রসেসটায় কী ধরণের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চান – এই দু’টির ওপর নির্ভর করে পুরো বিষয়টা।
আমি এখানে দু’টো সেরা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। গুগলের স্ট্রাকচার্ড ডাটা মার্ক-আপ হেল্পার আর ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন।
১) ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ব্যবহার
আপনি যদি লাখ লাখ ওয়ার্ডপ্রেস ইউজারের একজন হয়ে থাকেন, তাহলে স্কিমার মার্ক-আপ কাজে লাগানো আপনার জন্যে তো একদমই পান্তাভাত হবার কথা।
এই কাজের জন্য একাধিক ডেডিকেটেড প্লাগিন আছে। তবে আমার মনে হয় সবচে সেরা হলো Schema App Structured Data
প্লাগিনটি আপনার সাইটের জন্য স্কিমা মার্ক-আপ জেনারেট করবে। আপনি চাইলে মার্ক-আপে ম্যানুয়ালি গিয়ে এডিটও করতে পারবেন। [অথবা আপনি চাইলে প্লাগিনটা Plugins > Add New এখানে গিয়ে খুঁজে নিতে পারেন।]
প্লাগিন ডাউনলোড করার পর Plugins > Add New এ গিয়ে আপলোড করত পারবেন। ‘Choose file’ এ ক্লিক করে ডাউনলোড করা জিপ ফাইলটি সিলেক্ট করে দিন।
এবার Install Now তে ক্লিক করুন।
আর একদম শেষে ‘Activate Plugin’ সিলেক্ট করুন।
এখন আপনি যখন কোন পেইজ বা পোস্ট এডিট করবেন, তখন দেখবেন এডিটিং পেইন এর শেষে ‘Schema App Structured Data’ নামে একটা বক্স আসবে।
সাধারণত, এই প্লাগিন সেরা স্কিমা মার্ক-আপ টাইপ এড করে দেবে।
তবে এইখানেই কাজে লাগবে আপনার স্ট্রাকচার্ড ডাটার মৌলিক জ্ঞান।পুরো মার্ক-আপটা আপনি রিভিউ করতে পারবেন আর কোন চেঞ্জ করা লাগলে করতে পারবেন।
নিচের ডানদিকের পেন্সিল আইকনে ক্লিক করে এডিট করা যায়।
[খেয়াল করুন, উপরের বাম দিকে JSON-LD নামে বক্স দেখা যাচ্ছে। এটাই তো চাইছিলাম আমরা।]
অল্প কথায় এটাই হলো প্লাগিন কথন। এটা ব্যবহার করা খুবই সোজা। তাই যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আমি বলবো এইটা নিয়েই এগোতে পারেন।
২) গুগলের স্ট্রাকচার্ড ডাটা মার্ক-আপ হেল্পার ব্যবহার
অনেকেই কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন না। তাই আসুন আরেকটা পদ্ধতিতে স্ট্রাকচার্ড ডাটা এড করা শিখি। এটাও কিন্তু অনেক সহজ।
এই পদ্ধতি যে কোন সাইটে ব্যবহার করা যাবে। কোথায় হোস্ট করা, বা কী ধরণের সাইট, এটা কোন বিষয় না।
গুগল Structured Data Markup Helper দিয়ে ওয়েবমাস্টারদের তাদের সাইটে কোন ঝামেলা ছাড়াই স্ট্রাকচার্ড ডাটা এড করার সুযোগ দিয়েছে।
এটা একদমই সোজা-সাপ্টা কাজ। প্রথমেই Structured Data Markup Helper page এ যান।
ওয়েবসাইট ট্যাব চেক করে নেবেন।
এখন যেই পেইজ মার্ক-আপ করবেন, সেটার URL কপি-পেস্ট করুন। পেইজের নিচে URL পেস্ট করুন।
যদি আপনার HTML থাকে, তবে HTML ট্যাব ওপেন করে সেখানে পেস্ট করুন।
এখন গুগল যে দশটা ক্যাটাগরি দিচ্ছে, সেখান থেকে একটা সিলেক্ট করুন। এই লিস্টটা মনে হবে যেন আপনাকে একদম কোন সুযোগই দিচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনার কন্টেন্টগুলো কম-বেশি সবই এই দশ ক্যাটাগরির ভেতরেই পড়বে।
যেহেতু আমি এই উদাহরণের ব্লগ পোস্ট নিয়ে লিখছি, তাই আমি ‘Article’ সিলেক্ট করছি।
সব শেষে ‘Start Tagging’ এ ক্লিক করুন।
পরের পেইজে দু’টো পেইন দেখবেন। বাম পাশের পেইন হলো আপনার কন্টেন্ট (আপনার পেইজ বা HTML কোড), আর ডান পাশের পেইন হলো আপনার স্কিমা মার্ক-আপ টূল।
কোন কিছু মার্ক-আপ করতে হলে বাম পাশের পেইনে সেটাকে হাইলাইট করতে হবে।
যেমন, লেখার টাইটেলকে মার্ক-আপ করতে হলে, এটাকে লেফট ক্লিক করে যেই টেক্সট হাইলাইট করবেন সেটার ওপরে ড্র্যাগ করে নিয়ে আসুন। একটা পপ আপ বক্স আসবে আর নানা রকম মার্ক-আপ ট্যাগ এর অপশন দেখাবে।
যেহেতু এটা আর্টিকেলের নাম, তাই Name ট্যাগটা সিলেক্ট করুন।
ডান সাইডের পেইনের ‘My Data Items’ এ চেঞ্জ গুলো দেখতে পাবেন।
যদি কোন ইমেইজ মার্ক-আপ করতে চান, তাহলে ছবিতে ক্লিক করে পপ আপ বক্স থেকে Image সিলেক্ট করুন।
Structured Data Markup Helper এর বেসিক এগুলোই। যে ধরণের কন্টেন্ট নিয়েই কাজ করেন না কেন, প্রসেস একই।
“My Data Items” পেইনে, আপনি যা যা মার্ক আপ করতে চান, সবই গুগল লিস্ট করে রাখবে।
যদিও আপনার সেইখানে সব কিছু মার্ক-আপ করার দরকার নেই, তারপরেও আমি বলঅবো আপনার করা উচিত।
এর মাধ্যমে আপনি এটা অন্তত নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি যতটা সম্ভব একদম থরো একটা মার্ক-আপ করে নিয়েছেন। এটা আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে।
আপনার যখন সব মার্কিং-আপ করা শেষ হবে, তখন উপরে ডানপাশের কর্নারে “Create HTML” ক্লিক করুন।
এইবার হলো অনেক জরুরি একটা স্টেপ। বাম পাশের দ্বিতীয় বক্সটা ওপেন করে Microdata এর জায়গায় JSON-LD সিলেক্ট করুন।
এটা কিন্তু আপনাকে নিশ্চিত করা লাগবে কারণ JSON-LD হলো গুগলের প্রেফার্ড স্ট্রাকচার্ড ডাটা।
কোড যেটা জেনারেট হবে, সেটা কপি করুন। [আমি বলবো পেইজটা খোলাই রাখবেন, কখন আবার কপি করা লাগে।]
এতক্ষণ কিন্তু সব খুবই সহজ ছিলো। তবে এই স্টেপে এসে একটু কঠিন হতেও পারে। কারণ এখন মার্ক-আপকে আপনার ওয়েবসাইটে এড করা লাগবে, যেটা অনেক সময় বেশ কঠিন একটা কাজ।
মূল কথা হলো স্কিমা মার্ক-আপ (HTML এ লেখা) আপনার সোর্স-কোডে যাবে।
যদি আপনার সাইটে কেবল স্টেটিক পেইজ ফাইল থাকে, তাহলে কাজটা আপনার জন্য সহজ। শুধু উপরের ডানে ‘Download’ এ ক্লিক করুন।
যদি আপনার সাইটে নন-স্টেটিক পেইজ থাকে, তাহলে একটু ঝামেলা আছে। আর বেশিরভাগ CMS এর ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এমন।
স্ট্রাকচার্ড ডাটা ইমপ্লিমেন্টের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস কিন্তু বেশ ট্রিকি। এটা আপনার কন্টেন্টকে স্প্লিট করে দেয়। আপনি বডি কপি আর কোডে পেইজ এডিটর থেকে এক্সেস নিতে পারেন। তবে প্রতিটা পেইজের হেডার নিজ নিজ ফাইলেই থাকে।
কিছু স্কিমা মার্ক-আপ হেডারে যাবে। তার মানে আপনাকে আপনার থিম ফাইলে যেতে হবে আর ম্যানুয়ালি কোডটা ইনসার্ট করতে হবে।
একটু ভুল করলেই কিন্তু আপনার সাইট এলোমেলো হয়ে যাবে। সাইট ব্যাক-আপ থাকলেও সাইট ব্রেক আপ মানে সেই লেভেলের দুঃখ। আমি বলবো এই সিস্টেমে এগোতে হলে একজন ডেভেলপারের সাহায্য নেয়ে উচিৎ।
যদি আপনার এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়, তাহলে বডি কপিতে স্কিমা বসাতে পারেন।
আরো একটি উপায়…
তৃতীয় একটা উপায় আছে, কিন্তু যদি আপনার কোডিং বা ডেভেলাপিং এ অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে এটা আমি রেকোমেন্ড করি না।
সেটা হলো স্কিমা মার্ক-আপ ম্যানুয়ালি বসানো।
এটার ক্ষেত্রেও ঐ আগের সাবধানবানী প্রযোজ্য। সতর্ক না হলে, সাইটের বারোটা বাজবে।
তবে এই পদ্ধতির সুবিধাও আছে।
যেমন যেসব টুল আমি শেয়ার করেছি, সেসব কিন্তু লিমিটেড। কিন্তু আপনি যদি ম্যানুয়ালি স্কিমা মার্ক-আপ বসান, তাহলে আপনি অনেক গভীরে যেতে পারবেন।
আর আপনি যেমনটা চান, সবকিছু একদম হুবহু তাই করতে পারবেন।
তাই আপনার যদি কোডিং অভিজ্ঞতা থাকে আর আপনার যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।
শেষ কথা
লেখার শুরুতে যদি ‘স্ট্রাকচার্ড ডাটা’ দেখে ভয় পেয়ে থাকেন, আশা করি এতক্ষণে সেই ভয় কেটে গেছে।
এটা যতটা না সোজা মনে করা হয়, তার চাইতেও সোজা আর এমন একটা সেরা প্র্যাক্টিস আজই শুরু করে দেয়া উচিৎ।
বিশ্বাস করুন, আমি মাঝে মাঝে টেকনিকাল SEO এড়িয়ে যেতে চাই। কখনো ইমপ্লিমেন্ট করতে সময় লাগে, কখনো আমার এমনিতেই ভালো লাগে না।
কিন্তু আমি তাও করি, কারণ আমি জানি এটা আমার সাইটকে অদূর ভবিষ্যতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি চান আপনার সাইট একদম শক্তপোক্ত একটা ভিত তৈরি করুক, তাহলে স্ট্রাকচার্ড ডাটা আর মার্ক-আপ এর ব্যাপারে পড়াশোনা করাটা আপনার দরকার।
আগেও বলেছি, এখনও বলছি – SEO হলো একটা লং-টার্ম স্ট্র্যাটেজি।
আপনার আগ্রহ থাকতে হবে এখনই কিছু করার যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।
তার মানে কি এখন বছরের পর বছর বসে থাকবো? না, মোটেই তা নয়। তবে এটাও ঠিক, যে রাতারাতি কিছুই হয় না।
স্ট্রাকচার্ড ডাটার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আপনি যদি এখন সময় নিয়ে আপনার সাইটে এটা ইমপ্লিমেন্ট করেন, তাহলে লং টার্মে আপনাকে ঠেকায় কে?
তাহলে এই বছর স্কিমা মার্ক-আপ ব্যবহার করছেন তো?
source: https://neilpatel.com/blog/structured-data
খুব সুন্দের একটা আর্টিকেল। আচ্ছা ভাইয়া, booking এর উপর কি কোন স্ট্রাকচার্ড ডাটা হয়?
When we are testing with Google tool, sometimes it shows some errors! Now how to fix them. For Example I get one Issue like “blog post” error etc
Waiting to hear from you again!